Site icon Jamuna Television

ভিনগ্রহের আগন্তকের গল্প!

কোন সায়েন্স ফিকশন ফ্যান্টাসি মুভির গল্পের মতো শোনাতে পারে। রাশিয়ার এক তরুন নিজেকে মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে। মানব সম্প্রদায়কে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে, পৃথিবীতে তার পুণর্জন্ম হয়েছে। তার বাবা-মাও সেটা বিশ্বাস করেছেন। এমন খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের।

ভলগোগ্রাদে বেড়ে ওঠা ২১ বছর বয়সী বরিসকা কিপ্রিয়ানোভিচের মহাবিশ্ব আর সৌরজগত সম্পর্কে যে সব তথ্য দিয়েছে, তাতে হতবাক বিজ্ঞানী আর গবেষকরা।

বরিসকা জানায়, হাজার বছর আগে ভয়ঙ্কর পারমানবিক যুদ্ধে প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় মঙ্গলগ্রহের সভ্যতা। পৃথিবীও এখন একই নিয়তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তেমন ভয়াবহ বিপর্যয় ঠেকাতেই মঙ্গল থেকে তার পৃথিবীতে আগমন। তার মতো নাকি আরো অনেকেই এসেছে।

মঙ্গলগ্রহবাসীর নাকি ৩৫ এর পরে আর বয়স বাড়ে না, তারা আকৃতিতে অনেক লম্বা আর প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক এগিয়ে। পৃথিবীর মানুষ নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেন নিলেও, মার্শিয়ানরা নাকি বেঁচে থাকার জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে।

বরিসকার মতে, পৃথিবীর অনেক রহস্য এখনও অজানা। গিজার পিরামিডের নিচের বড় চমক লুকিয়ে আছে বলে দাবি তার। একবার স্ফিংস খোলা হলে, মানব সভ্যতার গতিপ্রকৃতিই পাল্টে যাবে। মূর্তির কানের পেছনে কোথাও চাপ দিলেই খুলে যাবে দুয়ার।

বরিসকার বাবা-মা সন্তানের এসব গল্পকেই বিশ্বাস করে। তারা জানান, অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী, অ্যাস্ট্রোনমারের কাছে ছেলে নিয়ে গেছেন তারা। সবাই বলেছেন, এতোসব গল্প-ঘটনা বানিয়ে বানিয়ে বলা অসম্ভব।

বরিসকার মা জানান, জন্মের দু সপ্তাহের মাথায় যখন বরিসকা কোন সাপোর্ট ছাড়া মাথা সোজা রাখতে শুরু করে, তিনি বুঝে যান, তার সন্তান স্পেশাল। কয়েক মাসের মধ্যে বরিসকা কথা বলতে শুরু করে; লিখতে পড়তে শিখে যায় দেড় বছরের মধ্যে। আর তখন থেকে বরিসকার একটা ধ্যানজ্ঞান : গ্রহ নক্ষত্র আর এলিয়েন।

Exit mobile version