Site icon Jamuna Television

মাদ্রাসা ছাত্রী রাফিকে আগুনে পুড়ে হত্যা চেষ্টায় ৮ জনের নামে মামলা

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়ে হত্যা চেষ্টা মামলার এজহার পরিবর্তন করে অজ্ঞাত মুখোশধারী বাদ দিয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এছাড়াও আটক কারা হয়েছে ৭ জনকে।

এরা হলো অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।

বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানের ভাষ্য অনুযায়ী, অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার নির্দেশে উল্লেখিত আসামীরা পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে তার বোনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ করে।

এপর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মাদ্রাসার প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র আরিফুল ইসলাম, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, পিয়ন নুরুল আমিন, আলা উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, আফসার উদ্দিন। এছাড়া রাফির সহপাঠিদের কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নুসরাতকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে মামলা করে নুসরাতের পরিবার। পরে পুলিশ ওই মামলার জেরে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন কথা বলে রাফিকে মাদ্রাসার চার তলায় নিয়ে যায়। সেখানে মুখোশ পরা কয়েকজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

Exit mobile version