Site icon Jamuna Television

উইকিলিকসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ আটক

উইকিলিকসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ইকুয়েডর।

বৃহস্পতিবার সুইডিশ সফটওয়্যার ডেভেলপার ওলা বিনি ইকুয়েডর ছাড়ার চেষ্টা করলে কুইটো বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জাপানের উদ্দেশে বিমানে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন।

ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া পাওলা রোমো বলেন, ওই ব্যক্তি আমাদের দেশে বসবাস করতেন। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।-খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের

তিনি বলেন, তাকে কেবল তদন্তের উদ্দেশ্যে আটক করা হয়েছে। এর আগে তিনি ইকুয়েডরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাটিনোর সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে এ রিকার্ডোই নিজেদের লন্ডনের দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

রোমো বলেন, সরকারকে অস্থিতিশীল করতে তিনি সহযোগিতা করছেন বলে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনে ব্রিটিশ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জামিনের শর্তভঙ্গের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন আদালত।

এদিকে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেনে আটক করার পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে। কম্পিউটার হ্যাক করার ষড়যন্ত্রের মামলায় সেখানে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা হয়েছে। গত সাত বছর এ দূতাবাসেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জ কনস্যুলার সুবিধা পাবেন, কিন্তু তাকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে না। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এমন কথাই বলেছেন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হন, তবে কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না ব্রিটেন। অস্ট্রেলিয়া সবসময় মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। তিনি বলেন, প্রত্যর্পণের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিষয়।

দুই হাজার ৪৮৭ দিন দূতাবাসে থাকার পর ৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল ঘোষণা করে ইকুয়েডর। এর পর পুলিশ ডেকে অ্যাসাঞ্জকে ধরিয়ে দেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।

আত্মসমর্পণে ব্যর্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এতে অন্তত ১২ মাস তাকে ব্রিটিশ কারাগারে থাকতে হতে পারে।

তাকে গ্রেফতারের ঘটনার তারিফ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তাকে আটকের মধ্য দিয়ে সেটিই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।

Exit mobile version