Site icon Jamuna Television

এখনও এলাকা ছাড়িস নাই, বলেই আদাবর ছাত্রলীগ সভাপতির ওপর হামলা

রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার রাত ২টার দিকে আদাবর থানা ছাত্রলীগের অফিসের সামনে ৮-১০ জন পাইপ নিয়ে হঠাৎ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বলেন, আমি এবং মিরাজ অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বৈশাখের পাঞ্জাবির অপেক্ষা করছিলাম।

আমার বৈশাখের অর্ডার দেয়া পাঞ্জাবি আসতে দেরি হওয়ায় অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে বলে এলাকা ছেড়ে দিবি। এ কথা বলে তারা চলে যায়।

এরপর কয়েক মিনিট পর ৮-১০ জন এসে বলে, তোদের না এলাকা ছাড়তে বলেছি, এখনও ছাড়িস নাই। বস বলছে তোদের এলাকা ছাড়তে। এ কথা বলেই পাইপ দিয়ে আমার চোখের কোনায় আঘাত করে।

পাইপের মাথায় চোখা কি যেন ছিল সেটি আমার চোখের কোনায় ঢুকে যায়। পরে তারা দৌড়ে চলে যায়। একটু সামনেই আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

পরে আমি আদাবর থানার ওসিকে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরে আমরা হাসপাতালে চলে আসি।

আপনি কাউকে চিনতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওরা সবাই ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল হাসু কমিশনারের লোক। এর আগেও আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল হাসু কমিশনারের লোকজন।

সে সময় আমি ৭ দিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলাম। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। হামলার সবাইকে আমি চিনি।

এদের মধ্যে ছিল শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ইদ্রিস, রায়হান, উজ্জল, হিমেল, মধু, শাহীন, রনি ও সোহান। বাকি কয়েকজনকে আমি চিনতে পারি নাই।

তিনি আরও বলেন, ওরা কয়েকদিন পরপর আমাদের ওপর হামলা চালায়।

তবে এ বিষয়ে বারবার ওসিকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ডিউটিরত ডা. সোনালী বলেন, তাদের অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি টেস্ট দেয়া হয়েছে।

এদিকে হাসু কমিশনারের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদাবর থানার ওসি কাউসার আহমেদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তবে তিনি আদাবর থানা ছাত্রলীগ সভাপতির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Exit mobile version