Site icon Jamuna Television

বাবার পর ছেলের শেষ পরিণতিও ‘বন্দুকযুদ্ধ’!

বগুড়া ব্যুরো:

এক যুগ আগে পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবা মারা গিয়েছিলেন বন্দুকযুদ্ধে, এবার কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারালেন ছেলেও।

শুক্রবার ভোররাতে শহরের ধরমপুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে রাফিদ আনাম স্বর্গ প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। ২০০৬ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন তার বাবা লিয়াকত আলী।

সদর থানা পুলিশ জানায়, ভোর রাতে শহরের ধরমপুর সুবিল খাল এলাকায় গোলাগুলির শব্দে টহল পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। সেখানে তারা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিতে পড়ে থাকতে দেখে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি এবং একটি বার্মিজ চাকু জব্দ করেছে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, নিহত ব্যক্তি শহরের খান্দার এলাকার রাফিদ আনাম স্বর্গ। ২০১১ ও ২০১২ সালে শহরের দুটি হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এছাড়া চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনেও তারা বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা রয়েছে। বাবা লিয়াকত আলীর মতো স্বর্গও পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন বলে জানান ওসি।

স্বর্গের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে গুঞ্জন ওঠে রোববার বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যায় জড়িত ছিলো রাফিদ আনাম স্বর্গ। তবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শাহীন হত্যাকাণ্ডে স্বর্গের যুক্ত থাকার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

Exit mobile version