Site icon Jamuna Television

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর ‘মৃত্যুর খবর’ নিয়ে বিভ্রান্তি

বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুর খবর নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মাহফুজ উল্লাহ।

তার মৃত্যুর খবর বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।

এ খবর প্রকাশের পর তার রুহের মাহফেরাত কামনা ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

তবে দিন বিকালে মাহফুজ উল্লাহ মেয়ে ডা. নুসরাত হুমায়রা মেঘলা ফেসবুকে এবং একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার বাবা মারা যাননি। যদিও তার শারিরীক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছে। তিনি এখন কোমায় আছেন। ডা. মেঘলা তার বাবার সাথে হাসপাতালে রয়েছেন।

সন্ধ্যায় মাহফুজ উল্লাহর বড়ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ জানান, তারা কোনো সূত্র থেকেই মৃত্যুর খবর জানতে পারেননি। চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করে পরিবারকে কিছু বলেনি। তবে তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিতসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন মাহফুজ উল্লাহ।

গত ১০ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককে নেয়া হয়।

বুধবার রাত ১১টা ৫২ মিনিটে মাহফুজ উল্লাহকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যাংককের উদ্দেশ্য রওনা হয় বলে জানিয়েছিলেন বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন।

অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে ডা. মেঘলা ও জামাতা মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে যান।

গত ২ এপ্রিল সকালে ধানমন্ডির গ্রীন রোডে মাহফুজউল্লাহ তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মাহফুজউল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা মাহফুজ উল্লাহ ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা ছাড়াও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত।

Exit mobile version