Site icon Jamuna Television

লন্ডনে অর্থ পাচার মামলা: ব্যবসায়ী মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

অর্থ পাচার মামলায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এই মামলার দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় গিয়াস আল মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।

গত ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৪ এপ্রিল ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন।

ওইদিন আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদ, জাহিদুল ইসলাম কোয়েল, হেলাল উদ্দিন, খায়রুল বাশার লিটন প্রমুখ। শুনানিতে তারা মামুনকে নির্দোষ বলে দাবি করেন এবং মামলাটি কোনো ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে দায়ের করা হয়নি বলে দাবি করেন।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানিতে তারা মামলাটি যথার্থ ও আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম বলে দাবি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। তা না হলে কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে মামুন ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন। ওই অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক।

ওই ঘটনায় ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। পরের বছর ২৯ এপ্রিল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটভুক্ত ১২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Exit mobile version