Site icon Jamuna Television

কুড়িগ্রামে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদ নিয়ে মারামারি: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নায়কের হাট দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদে দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্বে হাতাহাতি এবং মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে রোববার ১১টায় মাদ্রাসায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী জানান, চলতি বছরের ২জানুয়ারীতে ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল আওয়াল অবসরে গেলে সহকারী সুপার মাওলানা শাহজাহান নিয়মানুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পান। তার দায়িত্ব পালনকালে পরিচালনা কমিটি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে চলতি মাসের ১৩ তারিখে তাকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সহকারী মৌলবি একরামুল হককে ওই পদে দায়িত্ব দেন। এ নিয়ে ওই মাদ্রাসায় শুরু হয় দ্বন্দ্ব। গত শনিবার পরিচালনা কমিটি মাদ্রাসায় মিটিং করে একরামুল হককে সকল কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এসময় আগের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহান এবং বর্তমান দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সুপারের মাঝে কথা কাটাকাটি বেধে যায়। এক পর্যায় বিষয়টি হাতাহাতি থেকে মারামারির পর্যায় চলে যায়।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, আগের ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহানের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতির কারণে ওই পদ থেকে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দিয়ে একরামুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কারণে শাহজাহান তার লোকজন নিয়ে এসে একরামুলকে মারধোর করে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। সহকারী মৌলবি শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়েছে।

এদিকে সকল অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে শাহজাহান জানান, সরকারী নিয়মানুযায়ী সুপারের অবর্তমানে সহকারী সুপার ওই পদ গ্রহণ করবেন। আমি নিয়মানুযায়ী ওই পদে বহাল থাকা সত্ত্বেও সভাপতি একরামুলকে ভারপ্রাপ্ত সুপার বানিয়েছে। শনিবার দাপ্তরিক সব কাগজপত্র একরামুল হস্তগত করে। আমি ওই সময় কাগজপত্র রক্ষা করতে তাকে বাধা দিলে তারা আমার উপর চড়াও হয়। এ ব্যাপারে আমি থানায় জিডি করেছি।

এদিকে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শাহজাহানের বিপক্ষে বিক্ষোভ ও মিছিল করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী তোলেন। এ ব্যাপারে শাহজাহান জানান, শিক্ষার্থীদের ভুল ভাল বুঝিয়ে পরিচালনা পর্ষদ এবং একরামুল হক মিছিল মিটিং করিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, সব বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুখ খলিল অভিযোগ এবং জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যমুনা অনলাইন/ইএ

Exit mobile version