রাজশাহী ব্যুরো
আন্দোলন ও সমালোচনার মুখে অবশেষে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ পাঁচশ’র বেশি গাছ কাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে এরই মধ্যে টেন্ডার দিয়ে কাটতে বলা ৫৬১টির মধ্যে অর্ধশতাধিক কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে গাছগুলো কাটতে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতিও নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সোমবার নগরীর পদ্মাতীর সংলগ্ন কারাগারের পেছনের বিশাল বাগানের পুরাতন এই গাছগুলো কেটে ফেলাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীবাসীর ব্যানারে ঘটনাস্থালের সামনে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে দেখা করে বিষয়টি তুলে ধরেন।
আন্দোলনকারীদের একজন পর্যটক তানভীর অপু জানান, এসময় মেয়র সকল কথা শুনে আন্দোলনকারীদের রাজশাহী জেলা প্রশাসককে জানাতে বলেন। এসময় মেয়র নিজেও এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেন ও তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের পুরো বিষয়টি জানার পর কারা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন ও গাছগুলো না কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যস্থা নিতে বলেন।
বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন্স আলতাব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ফিরে না আসা পর্যন্ত সংশ্লষ্ট এলাকার গাছের একটি পাতাও কাটা হবে না। পরবর্তিতে এলাকার উন্নয়নে সকলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এতো বিশাল সংখ্যক গাছ কাটা হলেও তা জানা নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের। রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মামনুর রশিদ বলেন, যে কোন এলাকায় গাছ কাটতে হলে স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। তবে আমাদের কাছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের এমন কোন আবেদন আসেনি।

