Site icon Jamuna Television

দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে ঘূর্ণিঝড় ফণি

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে ঢুকছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। যশোর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মেহেরপুর অতিক্রম করে ঝড়টি রাজশাহী অভিমুখে অগ্রসর হতে পারে। তখন এর গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১শ ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

এর বর্ধিত অংশের প্রভাবে মধ্যরাতের পর থেকে তুমুল ঝড়োবৃষ্টি হচ্ছে সাতক্ষীরা উপকূলে। মূল কেন্দ্রটি স্থলভাগে থাকায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে মনে করছে আবহাওয়া অফিস। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা।

ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে, ঘরচাপায় ও বজ্রপাতে বাগেরহাট-কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, বরগুনায় ও নোয়াখালীতে ১৩ জন নিহত হয়েছে।
নোয়াখালীতে ঘর চাপা পড়ে ১ জন; আহত অন্তত ৩০, বরগুনার পাথরঘাটায় খলিফার হাটে ঘর চাপা পরে ২ জন নিহত হয়েছে। বাগেরহাটের থানপুরে গাছের ডাল পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ার দরুণ বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জে ৬, নেত্রকোণায় ২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড় ফণি’র প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। উত্তাল রয়েছে সাগর। বৈরি আবহাওয়ায় নদী পথে সব ধরণের নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফণি’র কারণে এখনও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। একই সতর্কতা জারি রয়েছে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলা সংলগ্ন চরাঞ্চলে।

চট্টগ্রাম বন্দরে এখনও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বিরাজ করছে। এই সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং আশপাশের চরগুলোতে।

Exit mobile version