Site icon Jamuna Television

ইরাকি নাগরিক হত্যাকারী দণ্ডিত মার্কিন সেনার ক্ষমা ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির একজন দণ্ডিত সেনা সদস্যের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। দণ্ডিত ফার্স্ট লেফটেনেন্ট মাইকেল বেহেন্না শিগগিরই জেল থেকে মুক্তি পাবেন। ২০০৮ সালে ইরাকে দায়িত্ব পালনকালে একজন ইরাকি নাগরিককে হত্যার কারণে ২০০৯ সালে বেহেন্নাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সামরিক আদালত।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে বেহেন্নাকে ইরাকে পাঠানো হয়। পরের বছর সেখানে এক বিস্ফোরণে বেহেন্নার বন্ধু দুই মার্কিন সেনা নিহত হয়। প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্যে মার্কিন বাহিনীর সন্দেহ ছিলো মনসুর নামে ইরাকি একজন গোয়েন্দা ওই বোমা হামরার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

তবে পরে আনুষ্ঠানিক তদন্তে মনসুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি মার্কিন বাহিনী। ফলে মনসুরকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর মাইকেল বেহেন্না নিজের উদ্যোগে মনসুরকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে তাকে উলঙ্গ করে দুটি গুলি করে লাশ ফেলে রেখে চলে যান বেহেন্না। বিষয়টি মার্কিন বাহিনীতে তার কোনো সহকর্মী বা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

পরে ইরাকি পুলিশ মনসুরের লাশ উদ্ধার করে এবং বেহেন্নাকে এ জন্য দায়ী করে। এই মার্কিন সেনা দায় স্বীকার করে দাবি করেন, আত্মরক্ষার সময় গুলিতে নিহত হয়েছে মনসুর। এরপর ২০০৯ সালে কোর্ট মার্শালের পর ২৫ বছর দণ্ডিত হন বেহেন্না।

যদিও পরে তার সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায় সিনিয়র অনেক সেনা কর্মকর্তা। ‘আত্মরক্ষার্থে হত্যা’ বলে বেহেন্নার দাবিকেই সঠিক বলে অভিহিত করেন তারা।

গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, রায়ের পরে সামরিক আপিল আদালত বেহেন্নার ‘আত্মরক্ষার্থে হত্যা’র দাবিকে যেভাবে আদালত ব্যাখ্যা করেছে সে বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল। এছাড়া সেনাবাহিনী ক্ষমা প্রদর্শন ও প্যারোল বোর্ড ইতোমধ্যে তার দণ্ড কমিয়ে ১৬ বছর করেছে এবং ৫ বছর দণ্ড ভোগের পর ২০১৪ সালে তাকে প্যারোলে মুক্তিও দিয়েছে। এসব বিবেচনায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বেহেন্নার পাওনা ছিল।

Exit mobile version