Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা: ধর্ষকের বাবা গ্রেফতার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় মা হারা ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের বাবা আইয়ুব খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক শাকিল মিয়া (১৯) এখনো পলাতক। নির্যাতনের শিকার শিশুটি বর্তমানে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার আইয়ুব খানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে, সোমবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুটির নানী মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে অভিযুক্ত শাকিল, তার বাবা ও মাসহ চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পরপরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আইয়ুব খানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

গত ৫ মে সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কুপতলার ইউনিয়নের পশ্চিম কুপতলা (মধ্যপাড়া) গ্রামে শাকিল মিয়ার বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয় শিশুটি।

পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার শিশুর নানী জানান, গত ৫ মে সকালে টর্চ লাইট চার্জ দিতে শাকিল মিয়ার বাড়িতে যায় শিশুটি। এসময় শাকিল তাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ধারালো ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়ি পাঠায়। পরদিন সকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার শিশুর পাশে থাকা নানী মর্জিনা বেগমের অভিযোগ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে মা হারা শিশুটিকে ধর্ষণ করে শাকিল। তার বাড়িতে বাবা-মা থাকলেও তারা ঘটনায় বাধা দেয়নি। তার নাতি অসুস্থ ও পরনের প্যান্ট রক্তমাখা দেখে ঘটনাটি জানতে পারেন। ঘটনাটি না জানাতে অভিযুক্ত শাকিল ও তার পরিবার এখনো বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটির সুষ্ঠ বিচার ও আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি জানান তিনি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর নানী চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এরপরেই অভিযুক্ত যুবকের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত যুবককেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার শিশুটির খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। হাসপাতালেই তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এছাড়া তার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে’।

Exit mobile version