Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে এখনো শিশুসহ ২ জন নিখোঁজ: স্বজনদের আহাজারি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ শিশুসহ দুইজনের সন্ধান মেলেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ও স্থানীয়রা চেষ্টা করেও নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পারেনি। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্বজনদের আহাজারি বাড়ছে।

নিখোঁজ দুইজন হলেন, গিদারী ইউনিয়নের ধুতিচরা গ্রামের মেনহাজ মিয়ার মেয়ে মেরেনা খাতুন (১২) ও একই গ্রামের মৃত্যু ফুল মিয়ার ছেলে আঙুর মিয়া (৪০)। এর আগে, উদ্ধার করা শিশুসহ তিনজনের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন, গিদারী ইউনিয়নের ধুতিচরা গ্রামের ইনছার আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০), দক্ষিণ গিদারী গ্রামের মৃত আজিজল মুন্সির স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫) ও একই গ্রামের সাজু মিয়ার মেয়ে সান্তনা খাতুন (১০)।

গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ইদু জানান, নৌকাডুবি ঘটনার পর থেকে রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। এরপর অনেক চেষ্টা করেও নিখোঁজ শিশুসহ দুইজনের লাশের সন্ধান মেলেনি। এছাড়া নৌকাডুবির ঘটনায় আরও কেউ নিখোঁজ আছে কিনা তা জানা যায়নি। এমনকি আরও কেউ নিখোঁজ আছে বলেও দাবি নেই কারও।

এ বিষয়ে রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ খোরশেদ আলম জানান, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু নিখোঁজ দুইজনের সন্ধান মেলেনি। এছাড়া সন্ধ্যা হওয়ায় উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়। তবে বুধবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের ব্রক্ষপুত্র নদের ধুতিচরা এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের অন্তত ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ একটি শ্যালো চালিত নৌকা করে ধুতিচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। তারা প্রতিদিনের ন্যায় নৌকায় করে চরে ফসল কাটতে যাচ্ছিলেন। নৌকার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত নারী-পুরুষ থাকায় হঠাৎ করে ধুতিচর এলাকায় পৌঁছানোর আগ মহুর্তে নৌকাটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক অনেকে সাঁতার কেটে তীরে ফিরে আসলেও শিশুসহ নিখোঁজ হয় অন্তত ৮ থেকে ১০ জন।

নিখোঁজ শিশু মেরেনা খাতুনের মামা মুহাম্মদ সাদ্দাম হোসাইন জানান, মায়ের সঙ্গে তার ভাগ্নি চরে যাচ্ছিলো। নৌকাডুবির ঘটনায় তার মা সাাঁতার কেটে তীরে ফিরে আসলেও মেরেনা নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা চেষ্টা করেও তার সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ মেরেনা জীবিত না হোক অন্তত লাশ পেলেও শান্তি পেত পরিবার।

Exit mobile version