Site icon Jamuna Television

বার্সেলোনাকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল

ঐতিহাসিক জয়ে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ফিরতি লেগে কাতালান জায়ান্টদের ৪-০ গোলে হারিয়েছে সালাহ-ফিরমিনোবিহীন অলরেডরা। জোড়া গোল করেছেন দিভোক ওরিগি আর জর্জিনিয়ো উইনালডাম। প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতলেও, গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় আবারও সেমিতে কপাল পুড়েছে লিওনেল মেসির বার্সেলোনার।

চতুরতার সাথে আলেক্সান্ডার আনর্ল্ডের কর্ণার কিক। অপ্রস্তুত বার্সার রক্ষণ। খানিকটা এগিয়ে থাকা টের স্টেনগানকে পরাস্ত করতে সময় নেননি লিভারপুলের বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ওরিগি। ততক্ষণে অবশ্য রূপকথার গল্প রচনার পটভূমি হয়ে গেছে অ্যানফিল্ডে। ৪-০ গোলের জয়ে লিভারপুল পেছনে ফেলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিতের সব সমীকরণ। অলরেডদের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। আর রোমার বিপক্ষে অঘটনের পুনরাবৃত্তি বার্সেলোনার।

প্রথম লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিতের মিশনে নিজেদের মাঠে অবিশ্বাস্য কিছুর প্রত্যাশায় ছিলেন লিভারপুল সমর্থকরা। সেখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ লিওনেল মেসিকে আটকে রাখার পাশাপাশি সালাহ-ফিরমিনোবিহীন আক্রমণ ভাগ নিয়ে বার্সার রক্ষণভেদ। ৭ মিনিটেই প্রথম গোল পায় অলরেডরা। জর্ডান হেল্ডারসনের নেয়া শট স্টেগান পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে না পারলে দিভোক ওরিগির গোলে লিড নেয় লিভারপুল।

য়্যুর্গেন ক্লপের গতি আর লম্বা পাসের ছকে ভেস্তে যায় ভালভার্দের সব পরিকল্পনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রবার্টসনের বদলি নামেন উইনালডাম। ৫৪ ও ৫৬ মিনিটে জোড়া গোল করেন ডাচ মিডফিল্ডার। গেল মৌসুমে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারে স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও ২০০৫ সালের পর আবারও শিরোপা জয়ের কাছে লিভারপুল।

Exit mobile version