Site icon Jamuna Television

নাটোরে ভূয়া ডাক্তারের বাড়িতে স্থাপিত হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর থেকে:

যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর কথিত চিকিৎসক আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে অবৈধভাবে স্থাপিত হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার আহমেদপুর ব্রীজ সংলগ্ন চড়তেবাড়িয়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এর আগেই রোগীদের সরিয়ে সকল সাইনবোর্ড, ব্যানার, দেয়াল লিখন মুছে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত চিকিৎসক আব্দুস সাত্তার। পরে পাশের ছোট ছোট খুপরি ঘরে কয়েকজন রোগীর দেখা মেলে।

রোগীর স্বজনরা জানান, সকাল থেকেই ব্যানার বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলাসহ রোগীদের চলে যেতে বলেন সাত্তার। ফলে বেশীরভাগ রোগীই চলে যায়। অভিযানে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াউর রহমান। এসময় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মলয় কুমার রায়সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ আগামীকালের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের কাছে অঙ্গিকারনামা নেন। রোগী থাকায় অবৈধভাবে পরিচালিক ক্লিনিকটি সীলগালা করা হয়নি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট।

উল্লেখ্য, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোন অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয় বাড়িতে খুলেছিলেন ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেবার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা, প্যারালাইসিসসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিতে অক্ষম দেশের বেশির ভাগই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছিলেন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে গেলে রিপোর্টারকে টাকা দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা চালানো হয়। বুধবার সকাল থেকে যমুনা টেলিভিশনে প্রতিঘন্টার সংবাদে ‘কথিত ডাক্তারের রমরমা ব্যবসা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচারিত হলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।

Exit mobile version