প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, মাদারীপুর
প্রায় ১৯ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হতে যাওয়া পদ্মা সেতু সংলগ্ন ‘শেখ হাসিনা তাত পল্লী’র মাদারীপুরের শিবচর অংশে আবারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৫টি অবৈধ ঘর-বাড়িসহ গত ৩ দিনে আরো ৩০ টি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
সম্প্রতি দুদকের একটি টিম তাঁতপল্লী ও পদ্মা সেতুর রেল লাইন সম্প্রসারণ এলাকায় মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরা অংশ পরিদর্শন করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন।
গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তাত পল্লীর ভিত্তিপ্রস্তর করেন। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ শ ১১ কোটি টাকা।
প্রকল্পটির জন্য জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ৬০ একর ও শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় ৪৮ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে অসংখ্য ৬তলা বিশিষ্ট ভবনে প্রত্যেক তাঁতীর জন্য ৬শ’ ফুটের কারখানা ও ৮শ’ ফুটের মধ্যে আবাসন সুবিধা থাকবে।
সরকারের পক্ষ থেকে সুতা রং-সহ কাচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিকমানের শোরুম, প্রশিক্ষণকেন্দ্র। তাঁতীদের ছেলে-মেয়েদের জন্য থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্তরের পর ওই জমির মালিক ও এক শ্রেণির দালাল চক্র প্রকল্প এলাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে শত শত ঘরসহ স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ লাগানো শুরু করে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে সম্প্রতি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে উভয় জেলা উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর গত ২৭ জানুয়ারি ৭২ ঘন্টার সময় বেধে দিয়ে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করে প্রশাসন।
এর পরপরই মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রথম দিনেই ৮০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আল নোমান বলেন, অবৈধ ঘরবাড়ি নির্মাণ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর ছিল দালাল চক্র। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযানের মাধ্যমে এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

