Site icon Jamuna Television

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির মিথ্যা তথ্য দিয়ে বরাদ্দ চাওয়ায় পিআইও’কে শোকজ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ফণি’র ক্ষয় ক্ষতির ভুল তথ্য দিয়ে বরাদ্ধ চাওয়ায় মোংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম সাক্ষরিত নোটিশটি প্রাপ্তির সাত কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে এ কর্মকর্তাকে।

জানাযায়, ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণি মোংলা বন্দর অতিক্রম করে। ৪ মে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোংলা উপজেলায় ৯৫৬টি বাড়ী, কানাইনগর এবং কাইনমারী এলাকার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন তথ্য দিয়ে জরুরি ঔষধ, নগদ টাকা, চাল বরাদ্ধ চান। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ প্রচার হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। কারণ দর্শানোর নোটিশে প্রকল্প কর্মকর্তাকে সরকারী কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ এর বিধান মোতাবেক কর্তব্য অবহেলা ও অসদাচরন করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

২০১১ সাল থেকে মোংলা উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন নাহিদুজ্জামান। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছা মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার কারণে ২০১৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় বদলির আদেশ হয় নাহিদুজ্জামানের। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সে আদেশ স্থগিত হয়।

সদ্য বিদায়ী মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম নাহিদুজ্জামানের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে বদলির জন্য লিখিত আবেদন করেছেন মন্ত্রণালয়ে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ১ ঘণ্টার মধ্যে জেলাকে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে হয়। আমি ঘূর্ণিঝড় ফণি আঘাত হানার পর সব ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরমেয়রসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষকে নিয়ে তাৎক্ষণিক তাদেরকাজ থেকে প্রাথমিক তথ্যনিয়ে জেলাকে জানাই। এবিষয়ে আমাকে পত্র দেয়া হয়েছে লোক মুখে শুনেছি। অফিসিয়াল কোন পত্র আমি পাইনি।

Exit mobile version