Site icon Jamuna Television

নিয়োগের বয়সসীমা ৩২, পরীক্ষায় টিকলেন ৩৮ বছর বয়সী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বেশকিছু অসংগতির কথা উল্লেখ করে এ পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃপরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ প্রার্থীরা। গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে দাবি করা হয় পরীক্ষার নির্ধারিত দিনের চারদিন আগেই পরীক্ষার নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতিতে একটি কক্ষে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলা হয়।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ ও দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ব্যক্তব্যে ডা. মাইনুল হাসান বলেন, ফলের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছেলে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের জামাতা, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী-২ এর স্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের স্বজনরা প্রথম সারিতে আছেন।

তিনি দাবি করেন, গত ৬ মাস আগে বিএসএমএমইউতে বিতর্কিত প্রশ্নপত্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া পরীক্ষার নির্ধারিত দিনের চারদিন আগেই পরীক্ষার নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতিতে একটি কক্ষে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলা হয়। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তরপত্র সরবরাহের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত থাকলেও ৩৮ বছর বয়সী এক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় টিকানো হয়েছে। তার নাম বিদ্যুৎ কুমার সূত্রধর।

প্রসঙ্গত গত ২০ মার্চ ২০০ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০ পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৮ হাজার ৫৫১ চিকিৎসক। অর্থাৎ এক পদের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন। এরপর গত রোববার পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর সন্ধ্যায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হন এবং ফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন থেকে জানানো হয়, নভেম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরীক্ষা গ্রহণের ভেন্যু না পাওয়ায় সেই পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) অনুষ্ঠিত হয় গত ২২ মার্চ।

Exit mobile version