Site icon Jamuna Television

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কেনাকাটার অনুসন্ধানে দুদক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়টিতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন,মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘উই আর ওয়েটিং ফর দ্য রিপোর্ট। যেহেতু মিনিস্ট্রি কাজ করছে, আমরা তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে,রিপোর্ট চাইব,রিপোর্ট দেখব, তারপরে যদি দেখি ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে সেখানে ডেফিনিটলী আমরা সেখানে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

এর আগে দুদকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। তবে দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যে পাওয়া গেল কিছুটা ভিন্ন সুর।

ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, “গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দুদকের নজরে এসেছে। দুদক তার নিজস্ব পদ্ধতিতে এগোবে। কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য সেখানে আমি দেখেছি। বালিশ, কেটলি এসব বিষয়। দেখেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটা রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটা দেখতে হয়, বুঝতে হয়, চারদিক দেখতে হয়। মন্ত্রণালয়ের দুটি কমিটি এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। সব দেখে আমি একটা অর্ডার করেছি। সেই অর্ডারটি হলো- সেই তদন্তে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। সবাই যদি একই জিনিস নিয়ে কাজ করতে থাকি তাহলে জিনিসটা ভালো দেখায় না। তারা কী রিপোর্ট দেয়, সেই রিপোর্ট দেখে তখন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে ভিন্ন কৌশল কেন জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘শোনেন, আমাদের কতগুলো প্রজেক্ট আছে যেগুলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে হঠাৎ করে আপনি জাম্প করবেন, সেখানে চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। এটা জাতীয় বিষয়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বহুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটার বাস্তবায়নের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও গুরুত্বপূর্ণ। সো জাস্ট ওয়েট। টেলিভিশনের দেখলাম একজন মন্ত্রী বলছেন যে, বেতন-ভাতা এগুলো সঠিক নয়। বালিশের ক্ষেত্রে এ রকম একটা পরিস্থিতি তো হতেও পারে।’

Exit mobile version