Site icon Jamuna Television

বসানো হলো ১৩ তম স্প্যান, দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর ১৯৫০ মিটার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
পদ্মাসেতুর ১৩ তম স্প্যান ‘৩-বি’ মাওয়া প্রান্তের ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। এই নিয়ে মাওয়া প্রান্তে তিনটি স্প্যান বসানো হলো। দুইপারে মোট ১৩ টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর এক হাজার ৯৫০ মিটার।

এর আগে নাব্যতা-সংকট আর লিফটিং ক্রেনের স্বল্পতার কারণে কয়েক দফায় এ স্প্যানটি বসানোর শিডিউল পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট সেতু কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩-বি’ বসানোর কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পদ্মাসেতুর অগ্রগতি একটি বৈঠকে বিষয়টি জানানো হয়। পদ্মাসেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, আর নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ। সেতুর মূল ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টি পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ২৬টি পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলে মন্ত্রীকে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ছয়টি পিলারের কাজ শেষ হবে। আর বাকি ১১টি পিলারের কাজ চলমান। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩টি স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২টি স্পান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

Exit mobile version