Site icon Jamuna Television

২য় মেঘনা-গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন তিনি। নবনির্মিত কাঁচপুর সেতু ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। নতুন দুটি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৯৫০ মিটার বা প্রায় এক কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ১২টি স্প্যানের ওপর নির্মিত সেতুটি চার লেনের। ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের সেতুতে রাখা হয়েছে দেড় মিটার ফুটপাথ। দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১ হাজার ৪১০ মিটার বা প্রায় দেড় কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ১৭টি স্প্যানের ওপর নির্মিত এই সেতুটিও চার লেনের এবং প্রস্থ ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার। এই দুই সেতু নির্মাণে সময় লেগেছে তিন বছর পাঁচ মাস।

মেঘনা এবং মেঘনা- গোমতী সেতু নির্মাণ করেছে যৌথভাবে জাপানের ওবায়েশী কর্পোরেশন, সিমিজু কর্পোরেশন ও জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪ লেন চালু হলে তখন থেকে কাঁচপুর, মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকায় যানজট শুরু হয়। দ্বিতীয় সেতুগুলো নির্মাণ শুরু হলে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করে। বর্তমানে এ মহাসড়ক দিয়ে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজ শুরু হয়। ‘২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। তবে সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।’

জনসাধারণের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেয়া হবে।’

Exit mobile version