Site icon Jamuna Television

ভারতের রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্র কী মুছে যাচ্ছে

ভারতের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র কী মুছে যাচ্ছে- এ প্রশ্ন ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে। এবারের নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের পরিবারতন্ত্রবিরোধী প্রচার যে মানুষের মনে দাগ কেটেছে, তার প্রমাণ দেখা গেছে আমেথি থেকে গুনা। আমেথিতে গান্ধী বংশের একাধিপত্য ধরাশায়ী হয়েছে। অন্যদিকে গুনা, বারমেঢ়ও একই বার্তা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিবিরোধী শিবিরের একাধিক রাজনৈতিক নেতার সন্তানদের হার সপ্তদশ লোকসভা ভোটে বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

উত্তরপ্রদেশের আমেথি গান্ধী পরিবারে দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই মাটিই কার্যত কংগ্রেসকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে ২০১৯ লোকসভা ভোটে। বিজেপির প্রার্থী স্মৃতি ইরানি ধ্বংস করে দিয়েছেন গান্ধী-আবেগের দুর্গ। পূর্বপুরুষের মুখ পুড়িয়েছেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি আমেথির জনতাও সম্ভবত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, গণতান্ত্রিক ভারতে পরিবারতন্ত্র মেনে রাজনৈতিক আবেগ কোনও কাজে লাগবে না।

দেশের একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রচার চালানোর সময় বারবার বলেছে, এ দেশ পরিবারতন্ত্র মানে না। আর সেই হিসাবেই মধ্যপ্রদেশের গুনায় সিন্ধিয়া রাজবংশের সন্তান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রথমবারের মতো হেরে গেলেন। যে গুনা কেন্দ্রটি একটা সময় দাপটের সঙ্গে কংগ্রেস জিতে এসেছিল। এর আগে এ আসনে জ্যোতিরাদিত্যর বাবা মাধব রাওকে কখনও হারায়নি। অন্যদিকে, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজস্থানের বারমেঢ় থেকে লড়াই করছিলেন যশবন্ত সিংয়ের ছেলে মানবেন্দ্র। তিনিও এবার পরাজিত।

কংগ্রেসের মুরলী দেওরার ছেলে মিলিন্দ লড়েছিলেন মুম্বাই দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে। মহারাষ্ট্রের আরও এক দাপুটে কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক চভনও নানদেদ কেন্দ্র থেকে হেরে যান। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের দাপুটে

নেতা শঙ্কররাও চভনের ছেলে অশোকের এ হারও বিরোধীদের কড়া বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ছেলে নিখিলকে এক লাখ ভোটে মান্ডয় থেকে পরাজিত করেন নির্দলীয় প্রার্থী। নিখিল কংগ্রেস জোটের শরিক জেডিএসর তরফে লড়েছিলেন।

Exit mobile version