Site icon Jamuna Television

ডেথ ওভারেই পাল্টে যেতে পারে ম্যাচের হিসাব

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে রান বন্যা বইবে সেটা অনেকটাই অনুমেয়। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরাতে ডেথ ওভার যে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সে জায়গাতেই অনেকটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে খেলা ওয়ানডেতে শীর্ষস্থান ইংল্যান্ডের দখলে, আর ৬.৬৯ গড়ে রান নিয়ে তালিকার ৯ অবস্থান টাইগাররা। অবশ্য কম খরুচে বোলিংয়ের দিক থেকে ভালো আবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

শেষ দশ ওভার পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের সব হিসাব-নিকাশ। কখনো ব্যাটসম্যান কখনোবা জয় হয় বোলারদের। কিন্তু বিশ্বকাপের এবারের আসর যে বসছে ইংল্যান্ডে। ম্যাচে জয় পরাজয় নির্ধারনে বোলারদের তুলনায় ব্যাটসম্যানরাই সুবিধা পাবেন বেশি, এটা অনেকটাই অনুমেয়। তবে বোলারদের যে সুযোগ থাকছে না তা বলা যাবেনা।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে দেখলে, ওয়ানডেতে ডেথ ওভারে সবচেয়ে এগিয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ৮.৩৫ গড়ে দশ ওভারে ৮৩ দশমিক ৫ করে রান তুলেছে ইংলিশরা। শুধু তাই নয় বাউন্ডারি হাকানোর দিক তেকেও এগিয়ে আছে তারা।দলটির ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে যেমন পটু ঠিক উল্টো বোলররা। খরুচে বোলিংয়ে তালিকার নয় নম্বরে অবস্থান তাদের।

তবে দুই দিক থেকে ব্যালেন্সড দল দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তোলার দিক থেকে দুইয়ে আর খরুচে বোলিংয়ে চারে অবস্থান প্রোটিয়াদের।

এরপর শেষ ১০ ওভারে রান তোলার দিক থেকে আছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া পাঁচে থাকলেও নিউজিল্যান্ডের অবস্থান সাতে।

পরের অবস্থানে যথাক্রমে আছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও উইন্ডিজ। তবে বোলিংয়ে ভালো আবস্থান ভারতের। ৭১ ম্যাচে ৬.৮৬ ইকোনমি রেটে আফগানিস্তানের পরেই অবস্থান ভারতের।

তালিকায় এর পরেই অবস্থান বাংলাদেশের। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ৪৫ ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। ওভার প্রতি ৬.৬৯ করে দশ ওভারে ৬৬.৯ রান করে তুলেছে লাল সবুজের দলটি। এই তালিকায় তলানিতে থাকলেও বোলিংয়ে কম খরচের তালিকায় তিনে আছে তাঁরা।

Exit mobile version