Site icon Jamuna Television

বান্দরবান বিএনপির সহ-সভাপতি বহিস্কার

বান্দরবানে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুজিবুর রশীদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বহিস্কারের বিষয়টি জেলা বিএনপিকে জানানো হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, সংগঠনের দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গঠনতন্ত্রের ৫ এর (গ) ধারা অনুযায়ী বিএনপি নেতা মুজিবুর রশীদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বর্তমান জেলা বিএনপির ঘোষিত আংশিক কমিটির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। বহিস্কৃত ব্যক্তি জেলা বিএনপির সাচিং প্রু জেরী গ্রুপের নেতা।

দীর্ঘদিন থেকে বান্দরবান জেলা বিএনপিতে রাজ পুত্রবধূ মাম্যাচিং ও রাজপুত্র সাচিং প্রূ জেরী দুই গ্রুপের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

অভিযুক্ত মুজিবুর রশীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। মাম্যাচিং গ্রুপের নেতারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অর্থের মাধ্যমে এই বহিষ্কারাদেশ করিয়ে নিয়েছে। সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সঙ্গে কখনোয় জড়িত ছিলাম না।

তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ রেজা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে মুজিবুর রশীদ লিখিতভাবে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। এসব টাকা সংগঠনের জন্য ব্যয় না করে তিনি নিজে আত্মসাৎ করেছেন। সুস্পষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে কেন্দ্র বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে হঠাৎ করে সাচিং প্রু জেরী গ্রুপের নেতা মুজিবুর রশীদকে সংগঠন থেকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ বহিষ্কার করায় ওই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে মাম্যাচিং গ্রুপের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য মাম্যাচিংকে সভাপতি ও মো. জাবেদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর সাচিং প্রু জেরী পক্ষের ১৬ নেতা পদত্যাগ করেন। এদের মধ্যে মুজিবুর রশীদও ছিলেন।

Exit mobile version