Site icon Jamuna Television

ইদলিব অভিযান: ফের তুরস্ক-রাশিয়া উত্তেজনার শঙ্কা

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ এখন একমাত্র এলাকায় যেটিতে সে দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়নি। এখনও ওই এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই চূড়ান্ত অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে সিরিয়া-রুশ বাহিনী।

রাশিয়ান বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ভূমিতে সিরিয়ান সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন অভিযান চলছে। এমতাবস্থায় রাশিয়া ও তুরস্কের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইদলিবের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে মদদ দেয় আঙ্কারা। এবং ওই এলাকায় তুর্কি সেনারাও অবস্থান করছে। সিরিয়া সরকার ও রাশিয়ার বড় কোনো যৌথ অভিযান বিদ্রোহীদের দুর্বল করার পাশাপাশি তুর্কি সেনাদের নিরাপত্তাও হুমকিতে ফেলবে।

তুরস্ক বলে আসছে, ইদলিবে সর্বাত্মক কোনো যুদ্ধ হলে সেখানে বাস করা ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। এতে তুরস্কের সীমান্তে শরণার্থীদের চাপ বাড়বে; যা হতে দিতে চায় না এরদোগান সরকার। দেশটিতে ইতোমধ্যে ৩৬ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী রয়েছে।

এদিকে বাশার আল আসাদ সরকার চাচ্ছে দ্রুত ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে। প্রদেশটির বড় এলাকা জুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এক সময় আলকায়েদার সহযোগী সংগঠন হায়াত তাহরীর আল শামস। এরা আবার রুশ স্বার্থে নিয়মিত হামলা করে যাচ্ছে।

আঙ্কারা মস্কোকে এদের নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা সফল হয়নি। এতে পুতিন সরকারের ধর্য্যচ্যুতি হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। হায়াত তাহরির আল শামসকে শায়েস্তা করতে চায় মস্কো।

এমতাবস্থায় ইদলিব ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও পুতিন ফোন এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আগামী জি-২০ সম্মেলনে উভয়ে সাক্ষাৎও করবেন।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি মাত্র যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য রাশিয়া তুরস্কের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চায় না। কারণ দীর্ঘমেয়াদে আঙ্কারার সাথে সম্পর্ক তাদের কাজে লাগবে। এ বিষয়ে মস্কো ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক কিরিল সেমেনভ বলেন, ইদলিবের বিনিময়ে তুরস্কের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে ইচ্ছুক নয় মস্কো।

Exit mobile version