Site icon Jamuna Television

১৪ বছর পর আবারো ইউরোপ সেরা লিভারপুল

১৪ বছর পর পুনরায় ইউরোপ সেরা হয়েছে লিভারপুল। টটেনহ্যাম হটস্পারকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে উঠে সালাহ বাহিনী। মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় শনিবার দুর্দান্ত খেলে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই টটেনহ্যামের ডি-বক্সে সাদিও মানের শটে বল মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর বুকে লেগে স্পর্শ করে হাত। সাথে সাথেই বেজে উঠে রেফারির পেনাল্টির বাঁশি। পরে নিখুঁত স্পট কিকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন মোহামেদ সালাহ। গোলটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে দ্বিতীয় দ্রুততম। তালিকার শীর্ষে আছে ২০০৫ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে ৫১ সেকেন্ডের মাথায় এসি মিলানের পাওলো মালদিনির করা গোল।

শুরুর ধাক্কা সামলে বল দখলে রেখে আক্রমণে মনোযোগী হয় টটেনহ্যাম। তবে বিরতির আগে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ওঠা দলটি। উল্টো ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতো পারতো। তবে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের জোরালো শটে শেষ মুহূর্তে হাত ছুঁইয়ে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক উগো লরিস।

দ্বিতীয়ার্ধে দুদলের ফুটবলই ছিল গতিহীন, ছন্দের অভাবও ছিল যথেষ্ট। এর মাঝে ৬৯তম মিনিটে জেমস মিলনারের নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে ব্যবধান বাড়েনি। ১০ মিনিট পর সন হিউং মিনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের শট ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন আলিসন।

৮৭তম মিনিটে বলতে গেলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন ওরিগি। জোয়েল মাতিপের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে নিচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড।

Exit mobile version