Site icon Jamuna Television

অভিনব পন্থায় ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে অপহরণ!

কামাল হোসাইন, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের রুবেল মিয়ার (১৯) সাথে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে তাঁকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত রুবেল ওই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর ছেলে।

বুধবার ভোর ৩টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের দ্ইু সদস্য সহ গ্রেফতার ও অপহৃতকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা ডিবি পুলিশ। শাকিলসহ ওই চক্রের দুই নারী সদস্য পুলিশ অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

প্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ছফির উদ্দিনের ছেলে পাভেল মিয়া (২২) ও একই জেলার পাগলা থানার ডিকরিভূমি গ্রামের সুজন উদ্দিন অপু (২৫) প্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত রুবেল গত রবিবার দুপুরে সিঙ্গাপুর যাবার প্রস্তুতির জন্য ঢাকায় ট্রেনিং করার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বাসে করে রওনা দেন। পথে বাসে পাশে থাকা দুই নারীর সাথে পরিচয় হয়। আলাপের এক পর্যায়ে দুই নারী রুবেলকে তাদের ভাই বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি রাজি হন।

যাত্রাপথেই রুবেল এক সহকর্মীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারেন ট্রেনিং একদিন পর থেকে শুরু হবে। একথা পাশে থাকা ওই দুই নারী জানতে পারে। গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় এলে এক নারী বলেন, ‘ভাইয়া, যেহেতু ট্রেনিং একদিন পরে হবে আজ আমাদের বাসায় থেকে যান।’

এতে রাজি হয়ে ওই নারীদের বাসায় যান রুবেল। সেখানে চক্রের আরো তিন পুুরুষ সদস্য মিলে তাঁকে জিম্মি করে। জিম্মি অবস্থায় রুবেলকে মারধর করে বাবার মোবাইলে ১ লক্ষ টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এদিকে রুবেলের বাবা ও তার স্ত্রী স্বর্ণা জেলার ডিবি পুলিশকে অবগত করলে তারা চক্রটিকে ধরার ফাঁদ পাতে।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণার অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ) এস এম আশরাফুল ইসলাম বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, রুবেলের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের নারী সদস্য সহ গাজীপুরে পাঠানো হয়। সেখানে অপহরহণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে এবং অপহরণকারীদের শর্ত মোতাবেক নারী পুলিশকে রুবেলের স্ত্রী সাজিয়ে দেখা করতে পাঠানো হয়। পরে সেখানে পাভেল ও সুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।

অপহরণকারীদের প্রেরিত বিকাশ নম্বরে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণারমূলকে কাজের একাধিক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পলাতক দুই নারী নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার মেদনী গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে প্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version