Site icon Jamuna Television

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কেন্দুয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার,নেত্রকোণা :

পালিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে গোপনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সাতদিন হাওরে আটকে রেখে এক কিশোরীকে তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান এ তথ্য জানান।

কল্যাণী বলেন- কিশোরী কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সেই বাঁধন সুদৃঢ় করতে দুজন পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) দুপুরের দিকে বিয়ের প্রলোভন প্রেমিকের হাত ধরে বাবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় কিশোরী।

তারপর ওই যুবক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নির্জন হাওরের মাঝখানে সেচ পাম্পের ঘরে আটকে রেখে বন্ধুরাসহ টানা সপ্তাহ জুড়ে ধর্ষণ চালিয়ে যায়। তারপর ভুক্তভোগী কিশোরীকে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে রাতের অন্ধকারে কেন্দুয়ার একটি সড়কে কিশোরীকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

পরে অচেতনাবস্থায় সড়কে পড়ে থাকা কিশোরী পথচারীদের দৃষ্টিতে এলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার স্বার্থে তাদের নামপরিচয় জানার পরও সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেননি পুলিশ। কল্যাণী ওই কিশোরীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাশেদুজ্জামান জানান, চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নেত্রকোণার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িত প্রত্যেককে খুব দ্রুত সময়ের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহ্জাহান মিয়া জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

এরআগে চলতি বছর ও মাসেই ০৬ এবং ১০ পৃথক তারিখে গণধর্ষণের শিকার হয় এক গৃহবধূ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি এক তরুণী। এরমধ্যে স্বামীর পরিকল্পনায় গণধর্ষণের শিকার হয় স্ত্রী। অপরদিকে গ্রামের সড়ক থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি তরুণীকে ধরে নিয়ে গণধর্ষণ করে গ্রামের বখাটেরা।

উল্লেখ্য যে এ নিয়ে কেন্দুয়ায় এক সপ্তাহে তিনটি গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

Exit mobile version