Site icon Jamuna Television

লক্ষ্মীপুরে ১২ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগ বাটোয়ারার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রায় ১২ কোটি টাকার টেন্ডারের কাজ গোপনে ভাগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে জেলা সদরে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার টেন্ডার ছাড়াও রায়পুর, রামগঞ্জসহ এ তিন উপজেলার টেন্ডার সিডিউল আজ (২০ জুন) বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিক্রয় বন্ধ রাখতে দেখা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি দলীয় কয়েকজন প্রভাবশালীয় নেতা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কর্মকর্তা মো: মাহফুজুর রহমানের গোপন যোগসাজশেই সিডিউল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে তাকে ঠিকাদারদের তোপের মুখে পড়তেও দেখা গেছে।

বিকেলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে নিয়মানুযায়ী সিডিউল বিক্রি না করা কোন সুযোগ নেই। প্রয়োজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিডিউল বিক্রি করা হবে। অথচ জেলা প্রশাসকের এই বক্তব্যে সাথে ঠিকাদাররা সিডিউল ক্রয়ের জন্য বিকেল পৌঁনে ৫ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা দফতরে গিয়ে কোন মিল খোঁজে পায়নি।

যারাই সিডিউল ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাদের বের করে দিয়েছেন সরকার দলীয় নেতারা। আর বরাবরের মতোই জেলার রামগঞ্জ, রায়পুরের সিডিউল ক্রয়-বিক্রয় বন্ধসহ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সিডিউল পৌঁছানো হয়নি বলে ঠিকাদার সহ সংশ্লিষ্টদের দাবী করেন। ফলে এ ঘটনায় ঠিকাদাররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ঠিকাদার, সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কর্মকর্তা মো: মাহফুজুর রহমান নাজেহাল হয়ে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সারা দেশের মতো লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলা ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করেন। গত ১৬ জুন দরপত্র বিক্রির তারিখ নির্ধারণ থাকলেও সময় মতো প্রস্তুতি না থাকায় সর্বশেষ সময় বাড়িয়ে সিডিউল বিক্রির শেষ তারিখ নির্ধারণ করেন ২০ জুন । সে অনুযায়ী ঠিকাদাররা গত ক’দিন থেকে বারবার চেষ্টা করে ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণের সর্বশেষ সময়েও জেলার রামগতি ও কমলনগর ছাড়া লক্ষ্মীপুর সদরসহ রায়পুর, রামগঞ্জ উপজেলার সিডিউল ক্রয়ে ব্যর্থ হয়।

কেন সিডিউল বিক্রি করা হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: মাহফুজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় ঠিকাদার ও সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে নাজেহাল হন ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: মাহফুজুর রহমান।

এরপর কেন জেলা কার্যালয়ে সিডিউল পৌঁছানো হয়নি এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পরে নিজেকে রক্ষায় মাহফুজুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর সহ রায়পুর ও রামগঞ্জসহ তিন উপজেলা কর্মকর্তাকে সতর্ক করে জরুরি তাগিদপত্র পৌঁছিয়ে কোন কাজ হয়নি বলে জানা যায়।

ফলে এ নিয়ে সরকারের ভাবমুর্তিতে চরম আঘাত সহ সবত্রই ক্ষোভ অসন্তোষ বিরাজ সহ সংশ্লিষ্টরা ভাগ বাটোয়ারাকৃত দরপত্র বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।

Exit mobile version