Site icon Jamuna Television

ধর্ষণ করে হত্যা করেছে ছেলে, লজ্জায় বাবার আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

স্ত্রীকে অচেতন করে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাঈম ইসলামকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নে অষ্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় শ্যালিকা তামান্নাকে হত্যা করার কথা জানিয়েছে নাঈম। নাঈম সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মৃত বসু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৭ জুন তামান্না তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ১৯ জুন রাতে স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ও শিশু কন্যা জান্নাতকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করার পর তামান্নাকে ধর্ষণ করে তার দুলা ভাই নাঈম। ধর্ষণের সময় তামান্না চিৎকার শুরু করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নাঈম। পরদিন ২০ জুন সকালে নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার গ্রামের এক সর্দারকে ডেকে আনলে নাঈম পালিয়ে যায়।

পালিয়ে যাওয়ার পর নাঈম অষ্টগ্রামে তার মামা শফিক মিয়ার বাড়িতে গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করছিল। সোর্সের মাধ্যমে নাঈমের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরে তার মামার বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশ তাকে আটক করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, নাঈম আমাদের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে। আমরা আশা করছি সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে।

এদিকে ছেলের এই অপকর্মের ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে শনিবার ভোরে জেলার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাঈমের বাবা বসু মিয়া। সকালে নবীনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।

Exit mobile version