Site icon Jamuna Television

মুক্তিযুদ্ধের পর এমন নৃশংসতা নজিরবিহীন: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

মুক্তিযুদ্ধের পর এত বিপুল সংখ্যক নৃশংসতা নজিরবিহীন। পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মামালায় আপিল রায়ের পর্যবেক্ষণে এমনটাই বলেছেন হাইকোর্ট।

সকাল পৌনে ১১টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মত অসমাপ্ত রায় পড়া শুরু হয়। শুরুতে রায়ের পর্যবেক্ষণ দিচ্ছেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার। তার পড়া শেষ হলে রায়ের মূল অংশ পড়বেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন। এর আগে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রথম দিনের রায় পড়া হয়। এদিন পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নৃশংস ঘটনা, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টে একটি শৃঙ্খলিত বাহিনীকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

হাইকোর্ট বলেন, বিডিআর-এ কোন সেনা অফিসার থাকবে না, সকল ক্ষমতা তাদের থাকবে। এটাই ছিল হত্যাকান্ডের মূল লক্ষ্য।এই রায়কে পৃথিবীর ইতিহাসের বড় রায়গুলোর একটি উল্লেখ করে আদালত বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রচলন নেই। মানবাধিকারের কথা বলা হয়। হত্যা একটি জঘন্য অপরাধ। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি সমাজের কাছে নজির রাখবে। অপরাধীদের অপরাধ করতে নিরুৎসাহিত করবে। এ জন্য হত্যাকান্ডের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োজন।

এ ঘটনায় দেশের বাহিরের শক্তির সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালত বলেন, সকল স্বাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে এটি ভিতরের এবং বাইরের গভীর ষড়যন্ত্র। যা দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় হয়েছিল।

আসামি সংখ্যার দিক থেকে পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ওই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়ার আরেকটি বড় ধাপ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version