Site icon Jamuna Television

নওগাঁয় বাল্যবিবাহ দেয়ায় ৩ জনকে কারাদণ্ড

নওগাঁ জেলা-যুগান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:

 নওগাঁর সাপাহারে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে ৩ অভিভাবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  কার্যালয়ে এ আদেশ দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  কল্যানচৌধুরী।

ইউএনও জানান, বুধবার রাতে কলমুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আকতারুলের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে খালেদা খাতুন (১৫) কে পাশের বৈকন্ঠপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯) এরসাথে বিয়ে দেওয়া হয়। 

রেজিস্ট্রেরী ছাড়াই গ্রাম্য মৌলভী দ্বারা বিবাহ দেয় অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের বাড়ীতে ভোজন উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে গ্রামের মুরুব্বীসহ উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন ছিল। এরইমধ্যে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পুলিশপাঠানো হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই খবর পেয়ে সটকে পড়েন বিয়ে বাড়ির লোকজন। 

তবে বাড়ীতে লুকিয়ে ছিলেন বর রবিউলের মা সামিনা বেগম (৪০) ও নানা ওসমান গনি (৬৬)। পুলিশ তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে বড় ও কণের জম্ম সনদ পর্যালোচনা করে অপ্রাপ্ত বয়সের প্রমাণ পান পাওয়া যায়। 

পরে অপ্র্প্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার অপরাধে আটক সামিনা বেগম ও ওসমান গনিকে ৬ (ছয়) মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। 

অন্যদিকে সাপাহার উপজেলার কোচ করিলা আদিবাসী পাড়ায় একটি বাল্য বিবাহের অনুষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। 

ওই গ্রামের বাসিন্দা মঙগরু টেপ্পো তার ১৬ বছরের মেয়ে মিতালীকে মহাদেবপুর উপজেলার বাসিন্দা মৃত সোমা টপ্পোর ছেলে ভোদন টপ্পো (২১) এর সাথে বিয়ে দিচ্ছিলেন।অভিযানে ভোদন টপ্পো ও কনের মা মিনতি টপ্পোকে আটক করে পুলিশ। 

পরে ভাম্যান আদালতে ভোদনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। একইসাথে কণের মা মিনতি টপ্পোকে ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। আদেশের পর সন্ধ্যায় কারাদণ্ড প্রাপ্তদেরকে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠায়।

Exit mobile version