Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানকে হারালে যত প্রাপ্তি যোগ হবে বাংলাদেশের মুকুটে

ভারতের কাছে হেরে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল আশা। ঐতিহাসিক লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিগপর্বের শেষ ম্যাচটি টাইগারদের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। আপাতদৃষ্টিতে এমন মনে হলেও এ ম্যাচ থেকেও মাশরাফী-সাকিবদের পাওয়ার আছে অনেক কিছু। দেখে নেয়া যাক একনজরে-

১. বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ তিনটি করে জয় আছে বাংলাদেশের। ২০১১ ও ২০১৫ আসরে তিনটি করে ম্যাচে জয় পান টাইগাররা। এবার এরই মধ্যে ধরা দিয়েছে তিনটি বিজয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলে সংখ্যাটি দাঁড়াবে চারে, যা বিশ্বমঞ্চ ইতিহাসে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের সেরা সাফল্য হবে।

২. পাকিস্তানের বিপক্ষ জিতলে সেরা পাঁচে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। এ জন্য অবশ্য ভারতের বিপক্ষে শ্রীলংকাকে হারতে হবে। এ সমীকরণ মিলে গেলে ইংল্যান্ডের মতো বৈরী কন্ডিশনে পঞ্চম দল হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে পারাটাও হবে বড় অর্জন। এতে সেমিফাইনালে খেলতে না পারার দুঃখে কিছুটা হলেও প্রলেপ দেয়া যাবে।

৩. বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ছিল দুটি। ২০১৫ বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার ইতিমধ্যে হয়ে গেছে তিনটি। দুটি সাকিব ও একটি মুশফিক করেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে কেউ করতে পারলে সেটি হবে চার নম্বর।

৪. এখন পর্যন্ত ৫৪২ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। এ ম্যাচে ১৯ রান করতে পারলেই বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের ১০ জনের তালিকায় ঢুকে যাবেন তিনি। এ তালিকায় ওপরের দিকে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিরা। আর ১৮ রান করলে সব আসর মিলিয়ে সাকিবের রান হবে ১১০০।

৫. বাংলাদেশের হয়ে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন সাকিবই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সেটিকে তিনি কতদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন, তাও দেখার। বড় একটি ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে পারলে সেটিও হবে বড় প্রাপ্তি।

৬. বিশ্বকাপের এক আসরে এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোস্তাফিজুর রহমান। ইতিমধ্যে ১৫ উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন তিনি। এতদিন এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার রেকর্ড ছিল বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের দখলে। ২০০৭ সালে ৯ ম্যাচে তিনি শিকার করেছিলেন ১৩ উইকেট। এবার সাত ম্যাচে বোলিং করেই তাকে টপকে গেছেন ফিজ। কাটার মাস্টার পকেটে আর কতটি উইকেট পুরতে পারেন তাতে নজর থাকছে।

৭. ২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায়নি পাকিস্তান। এ ধারা অব্যাহত থাকে কিনা কিংবা গেরো খুলে যায়, সেই বিষয়টি মাথায় থাকছে।

Exit mobile version