Site icon Jamuna Television

রিকশা শ্রমিকদের অবরোধে স্থবির যানবাহন, অফিসগামীদের দুর্ভোগ

ঢাকার তিন সড়কে রিকশা চলাচলে সিটি কর্পোরেশনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের আন্দোলনে নেমেছেন রিকশা শ্রমিকরা। তাদের সড়ক অবরোধে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামীরা। নগরজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাজধানীর কুড়িল, বিশ্বরোড, বাড্ডা, রামপুরা ও মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার সড়কে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার রিকশাচালক বিক্ষোভ করছেন।

তাদের এই বিক্ষোভের কারণে প্রগতি সরণি হয়ে মালিবাগ থেকে রামপুরা হয়ে কুড়িলের দিকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিশ্বরোড থেকে রামপুরা যাওয়ার সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের সারি পড়ে আছে সড়কের দুদিকে। গরমে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও গন্তব্যে যেতে পারছেন না নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে পথ ফুরাচ্ছে না। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামীরা। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

নতুনবাজার এলাকায় সামিয়া রহমান নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিশ্বরোড থেকে এ পর্যন্ত আসতে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে। বাস যেন এগোচ্ছেই না।

বিশ্বরোড এলাকায় সায়েম নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জানান, তার অফিস রামপুরায়। তিনি দুই ঘণ্টা ধরে বসে আছেন। বাস এগোচ্ছেই না। তীব্র গরমে আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়। এ কারণে হেঁটেই অফিস যাচ্ছি।

রাজধানীর যে তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে কুড়িল থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত এই সড়কও রয়েছে।

আন্দোলনরত রিকশাচালকরা ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন অবরোধ থেকে। প্রগতি সরণিতে রিকশা মালিকরাও অবরোধে যোগ দিয়েছেন।

বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

এর আগে সোমবারও মুগদা, মানিকনগর, মাণ্ডা, বালুরমাঠ ও কমলাপুর টিটিপাড়ায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

Exit mobile version