Site icon Jamuna Television

ধর্ষণ মামলার আসামি মেয়র পুত্রের জামিন

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন মামলার আসামী জাজিরা পৌরসভার মেয়রের ছেলে মাসুদ বেপারি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। জামিন পাওয়ায় ভূক্তভুগি ওই কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভুক্তোভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনা জানাজানির পর থেকে মেয়ে আমার ঘর থেকে বের হয় না। সব সময় শুধু কাঁদে। লজ্জায় মানুষের সাথে দেখা করে না। অপরাধী প্রভাবশালী। জামিনে মুক্তি পাওয়ায় আমরা ভয়ে আছি।

পুলিশ জানায়,গেল ২৯ জুন রাতে জাজিরার একটি স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়। ৩০ জুন মালমা হয়। গ্রেফতার মাসুদ বেপারিকে ১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ৭ জুন তার জামিনের আবেদন করা হয় শরীয়তপুর জেলা আমলি আদালতে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আমলি আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি কামরুজ্জামান নজরুল পরের দিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপিল করেন। তিনি ওই দিনই আরেক আবেদনে আসামীর জামিন প্রার্থনা করেন। জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মরিয়ম মুন মঞ্জুরী জামিন মঞ্জুর করে আসামীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেন।

জাজিরার সামাজিক সংগঠন নারী নির্যাতন দমন চাঁদনী মঞ্চের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার প্রভাবে অপরাধীরা দ্রুত মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। জাজিরার কলেজ ছাত্রীর ধর্ষন মামলার আসামীও অনুরুপ সুবিধা পেয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওই আসামী এখন তার অবৈধ শক্তি প্রয়োগ করে মামলা থেকে বাঁচতে প্রভাব বিস্তার করবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ও সরকারি কৌশলী (পিপি) মির্জা হযরত আলী বলেন,রাষ্টপক্ষ আসামিকে জামিন দেয়ার বিরোধীতা করেছে। কিন্তু আদালত তা আমলে নেয়নি। তখন আদালতের কাছে রাষ্ট্রপক্ষ অসহায় হয়ে পরেছে। এভাবে গুরুতর অপরাধের মামলার আসামিকে দ্রুত সময়ে জামিন দেয়া হলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

জাজিরা থানার ওসি বেলায়েত হোসেন বলেন,কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন মামলার আসামী জামিন পেয়েছেন এমন তথ্য পেয়েছি। ভূক্তভোগি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে

Exit mobile version