Site icon Jamuna Television

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশ-চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দু’জন শ্রমিক মৃত্যু হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গঠিত প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুল হাফিজের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে সোমবার বিকালে জমা দেয়া হয়। যদিও প্রতিবেদনে ২ জুলাইর কথা উল্লেখ করা হয়।

তদন্তে চায়নার এনইপিসি’র সেফটি ডিরেক্টরসহ মোট ৫ জনের ও বাংলাদেশের ৬ জন শ্রমিকের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। ঘটনার কারণ সম্পর্কে তদন্তদল চায়নার সুপার ভাইজারগন কর্তৃক বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার, নিম্নমানের খাবার, আবাসন, বেতন বৈষম্য, দোভাষীদের গাফিলতি, ও নিহত বাংলাদেশী শ্রমিক সাবিদ্র দাসের লাশ গুমের চেষ্টায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনাকে উল্লেখ করেন।

ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠির দায় উল্লেখ করতে গিয়ে তদন্ত দল অপ্রতুল নিরাপত্তা, নিয়মিত মনিটরিং’র অভাব, প্রকল্পের নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স না থাকাসহ ১৩ টি বিষয় উল্লেখ করেন।

তদন্তে প্রকল্পের নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, গুরুত্বপূর্ন প্রয়োজনীয় মালামাল লুট, ১৫/২০ গাড়ীর ভাঙচুর, সিসি টিভির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হামলা ও ডিভাইস নিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষয়ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করা হয়। এ সব ঘটনায় বহিরাগতরা, স্থানীয় কিছু জন প্রতিনিধির লোকজন যারা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা না পেয়ে ঘটনার সুযোগ গ্রহণ করে প্রকল্প এলাকায় হামলা চালায় বলে উল্লেখ করা হয়।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সুপারিশ মালার মধ্যে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন রোধ করা, উভয় শ্রমিকদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, শ্রমিক নিয়োগে পুলিশের মাধ্যমে প্রাক পরিচিতি নিশ্চিত করা এবং ঐ এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষায়িত বাহিনী মোতায়েনসহ আরো ৬ টি বিষয় উল্লেখ করা হয়।

কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিবুর রহমান ও বিসিপিসিএল’র নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান।

Exit mobile version