Site icon Jamuna Television

গোপন নথিতে ট্রাম্পকে ‘অকর্মা’ বলে উল্লেখ: ইস্তফা দিলেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত

ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অকর্মা বলে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডেরক নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিমন ম্যাকডোনাল্ডকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, তাকে নিয়ে এই বিতর্কের অর্থ হচ্ছে তিনি আর নিজ পদে থাকছেন না।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে দাম্ভিক বোকা ও খুবই নির্বোধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

চিঠিতে কিম ডেরক লিখেছেন, দূতাবাস থেকে নথিগুলো ফাঁস হওয়ার পর আমার অবস্থান এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার বাকি সময়কে ঘিরে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা চলছে।

তিনি বলেন, আমি এই জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে চাই। কাজেই আমি যেভাবে দায়িত্ব চালিয়ে আসছিলাম, বর্তমান পরিস্থিতি সেটাকে অসম্ভব করে তুলেছে।

কিম ডেরকের চিঠির জবাবে ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ব্যক্তিগত গভীর অনুশোচনার সঙ্গে আমি এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলাম। দীর্ঘ অনন্য পেশাগত জীবনে মর্যাদা, ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধের সঙ্গে তিনি যে আচরণ করে আসছেন, এই বিতর্কের সময়েও সেটা ধরে রাখতে পারায় তার তারিফ করতেই হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুরো সরকারি চাকরিজীবীরা আপনার পাশে রয়েছেন। আপনি ঘৃণ্য নথি ফাঁসের নিশানায় পরিণত হয়েছেন। আপনি কেবল নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে অকর্মা ও মারাত্মক অকার্যকর বলে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডেরক।

রোববার দেশটির ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মেইলের প্রকাশিত ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক মেমো থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে কিম ডেরক বলেছেন, ট্রাম্পের শাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও লজ্জাজনকভাবে শেষ হবে।

ব্রিটেনে পাঠানো রাষ্ট্রদূতের গোপনীয় কূটনৈতিক নথি ও ব্রিফিং নোট দেখে ডেইলি মেইল এমন খবর দিয়েছে।

এসব বার্তায় তিনি বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করছি না, এই প্রশাসন উল্লেখযোগ্যভাবে খুবই স্বাভাবিক, কম অকার্যকর, কম অনিশ্চিত, কম বিভক্ত, কূটনৈতিকভাবে কম অপটু ও অযোগ্য হবে।

ট্রাম্পকে বর্ণনা দিতে গিয়ে ডেরক ভয়নক সব মন্তব্য করেছেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি অনিরাপদ ও অপদার্থ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গত মাসে রানীর আমন্ত্রণে ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার এই বিতর্কিত সফরের পর পাঠানো মেমোতে রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসন বিস্মীত হলেও তা বেশিদিন থাকবে না। ব্রিটেনকে হুশিয়ারি করে তিনি বলেন, এখন ‘আমিরাকই প্রথম’ নীতিতে চলতে ট্রাম্পের দেশ।

Exit mobile version