Site icon Jamuna Television

টানা বৃষ্টি-পাহাড়ী ঢল ও নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত

দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ছয় দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আজ ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টি না কমায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর।

শহরের বাকলিয়া, হালিশহর, মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে পানি ওঠায় দুর্ভোগে কর্মস্থলগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

একই সঙ্গে ছয় দিন ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরের কার্যক্রম। খোলা পণ্য নিয়ে খালাসের অপেক্ষায় আছে ৫১টি বিদেশি জাহাজ। ভারি বৃষ্টিতে তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে পার্বত্য তিন জেলার নিম্নাঞ্চল। খাগড়াছড়িতে চেঙ্গি ও মাইনী নদীর পানি বাড়ায় জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৮টি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। ৫ দিনের বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। শহরের ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ৮ শতাধিক পরিবার। তাদের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া পাহাড়ি ঢলে ফেনীতে প্লাবিত হয়েছে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার নিম্নাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। লালমনিরহাটে পানিবন্দী ১৫টি গ্রাম। সুরমার পানি বেড়ে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিবন্দি তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুরের শতাধিক গ্রাম। বিপদ সীমার ১৫৭ সেন্টমিটার উপরে বইছে কংস নদরি পানি। নেত্রকোণায় সোমেশ্বরী বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে।

Exit mobile version