Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী রাসেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজা গ্রেফতার

???????????????????????

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

হত্যাকাণ্ডের ৯ মাস পর গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে ব্যবসায়ী রাসেল সরকার (৩৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে সাদুল্যাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বড় দাউদপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিআইডি) গাইবান্ধার একটি টিম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিআইডি) গাইবান্ধার  ইন্সপেক্টর মো. সবুর মিয়া বলেন, ‘ব্যবসায়ী রাসেল হত্যাকাণ্ড একটি ক্লু’লেস মামলা। প্রাথমিক তদন্তে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে রাজাকে চিহ্নিত করা হয়। হত্যা ঘটনার পর থেকে রাজা আত্মগোপনে ছিলো। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করতে বগুড়া ও যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় চেষ্টা চালানো হয়। সর্বশেষ গোপনে খবরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার রাজা মিয়া বড় দাউদপুর গ্রামের মৃত্যু ওয়াহেদ আলীর ছেলে। রাসেলকে কেন হত্যা করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে আরও কারা জড়িত আছে তা নিশ্চিত হতে রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজাকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে রাসেল হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে’।

এর আগে, গত বছরের ৮ নভেম্বর রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে বড় দাউদপুর গ্রামের সেলিম কেরানীর ছেলে হুজাইফা মিয়া ও মতি সরকারের ছেলে মোকছেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। যদিও হুজাইফা ও মোকছেদুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে পরিবারের লোকজন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি জানান। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে জামিনে আসেন তারা দুইজন।

প্রসঙ্গত, গেল বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে ব্যবসায়ী রাসেল সরকার (৩৫) মিরপুর বাজারের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৮ অক্টোবর সকালে দাউদপুর গ্রামের গড়েয়ার বিল সংলগ্ন একটি কলাবাগান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় রাসেল সরকারের বাবা খুশি সরকার বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং১৭/১৮)। মামলার পর থেকে দীর্ঘ চেষ্টা করেও পুলিশ রাসেল হত্যার ক্লু উৎঘাটন করতে পারেনি। গত দুই মাস আগে মামলার তদন্তে দায়িত্ব পায় ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিআইডি) গাইবান্ধা ইউনিট। 

Exit mobile version