Site icon Jamuna Television

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে সালমা ইসলাম এমপির শোক

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি ও সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

রোববার সকালে এক শোকবার্তায় তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি দেশবাসীর কাছে এরশাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া চেয়েছেন। জাতীয় পার্টির শোকাহত লাখ লাখ নেতাকর্মীকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সালমা ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আজ নেই। তিনি ছিলেন আমাদের সবার অভিভাবক। তাকে ঘিরে কয়েক দশক ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। তার নেতৃত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমাদের সামনের দিনগুলোতেও ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সালমা ইসলাম বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি মৃত্যুর আগে ছোট ভাই জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করে গেছেন। আমার বিশ্বাস জিএম কাদের আগামী দিনে শক্ত হাতে জাতীয় পার্টির হাল ধরতে পারবেন। জাতীয় পার্টির প্রতিটি নেতাকর্মী জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি এরশাদের মতোই জাতীয় পার্টিকে বহুদূর নিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। ২৬ জুন থেকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ভিড় করেন পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা।

সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে। এর পর পর্যায়ক্রমে সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ রংপুরে নেয়া হবে। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে এরশাদকে ঢাকায় এনে সেনাবাহিনী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

৯ বছরের সফল শাসক এরশাদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় করেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বার্ধক্যজনিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এ কারণে গত প্রায় ছয় মাস ধরে রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন তিনি। দলের বিশেষ কর্মসূচিগুলোতে তাকে হুইলচেয়ারে করে আসতে দেখা গেছে।

এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও শপথ অনুষ্ঠানে যাননি এরশাদ। পরে তিনি হুইলচেয়ারে করে সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকারের কাছে শপথ নেন। অসুস্থতার কারণে বিরোধীদলীয় নেতা হয়েও একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনে যেতে পারেননি সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

২৬ জুন অসুস্থতা বেড়ে গেলে এরশাদ নিজেই ব্যক্তিগত সহকারীদের নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Exit mobile version