Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় পানিবন্দি ৩ লাখ মানুষ

গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে চার উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক গ্রামের বির্স্তীণ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল, নিম্নঅঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। গত দুইদিনে ব্রক্ষপুত্র ও ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৬টি জায়গা ধ্বসে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৩০টি গ্রাম। বাঁধের আরও বেশ কয়েকটি জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন আশপাশের মানুষরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে গাইবান্ধার পৌর শহর এলাকায়। এতে কুটিপাড়া, জুম্মাপাড়া, বানিয়ারজান, ডেভিট কোম্পানি পাড়া, ব্রিজ রোড় এবং পূর্বপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাটে এখন কোমর পানি। নতুন করে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে সাদুল্যাপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন। পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চার উপজেলার অন্তত আড়াই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে পানিবন্দি মানুষের মানুষের জন্য খোলা হয়েছে ১২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র। তবে কর্মহীন এসব মানুষের মধ্যে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন বানভাসী মানুষরা।

তাদের অভিযোগ, দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যহত থাকলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। অধিকাংশ চরাঞ্চল ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো পৌঁছেনি ত্রাণ সামগ্রী। কাজকর্মহীন এসব মানুষের ঘরের খাবার শেষ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্যার্ত এলাকার মানুষের মাঝে ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ৪ হাজার শুকনা খাবার প্যাকেট ও নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় জরুরী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে ১০৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের গাইবান্ধার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহিদুল ইসলাম। এছাড়া শহর রক্ষা বাঁধসহ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

Exit mobile version