Site icon Jamuna Television

ত্রাণের জন্য হাহাকার: ‘কাইল চাইরডা খাইছিলাম, আর পেটে কিছু পড়ে নাই’

ময়মনসিংহ ব্যুরো

“বাবা কাইল চাইরডা খাইছিলাম। আইজ সহাল থাইক্কা পেডে কিছু পরে নাই। আমি নাওয় না খাইয়া থাকপার পারি কিন্তু বাচ্চা দুইডা কি করবো। পেটগুলা দেহেন পিডের লগে লাইগা গেছে। খাওন চায় খাওন, কই পামু। বস্তা দিবেন তাইলে আমার নামডা লেইখা লইয়া যান।” এভাবেই বলছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের গৃহবধু হেলেনা আক্তার।

জামালপুরে এবারের বন্যায় পানিবন্দি প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। বিপুল সংখ্যক এই বন্যার্তদের সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রোশাসন। দুর্গত এলাকায় নৌকার আওয়াজ শুনলেই ত্রানের আশায় ছুটে আসছে মানুষ। বেশিরভাগ ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ ত্রান পাচ্ছেননা তারা।

জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে।

যমুনার পানি কমে বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে শনিবার বিকেলে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ধীরে ধীরে পানি ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বেশীরভাগ এলাকায়। ৬১ টি ইউনিয়ন ও ৮ টি পৌরসভায় পনিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নায়েব আলী জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে বন্যার্তদের জন্য নতুন করে ১৩০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version