Site icon Jamuna Television

সড়কের মাঝখানে ৮ বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং!

নাজমুল হাসান, নাটোর
নাটোরের বড়হরিশপুর থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ কাজে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে আলাইপুর পর্যন্ত সড়কে সড়কে অন্তত ৮ থেকে ১০টি খুঁটি রয়েছে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এইসব বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইন সহ বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং অফিসে সংযোগ রয়েছে। খুঁটি না সরিয়েই মঙ্গলবার থেকে পুনরায় সড়কের কার্পেটিং শুরু হয়েছে।

এবিষয়টি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সর্বপ্রথম সবার নজরে আনেন শহরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। এরপরই ফেসবুকে নিন্দার ঝড় উঠে।

অনিক নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, ইঞ্জিনিয়ার হোক আর কন্টাকটর হোক, এইসব অদক্ষ লোকজনের হাতে কাজ দিয়ে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করার কোন মানে হয় না। সড়কে বৈদ্যুতিক পিলার রেখেই কাজ চলছে। যেন বাধা দেবার কেউ নেই।

তিনি আরও লেখেন, ৮টি খুঁটি সরানোর জন্য নেসকোকে ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারমানে খুঁটি প্রতি ৮ লাখ টাকা। তারপরেও খুঁটি সরানোর উদ্যোগ নেই। বিষয়টি দুঃখজনক।

অনেক ফেসবুক ব্যহারকারী স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন। নাটোর পৌরসভা, নেসকো সহ সরকারী অন্যান্য বিভাগের সাথে সমন্বয় না করেই সড়কের প্রকল্প হাতে নেওয়ায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে পোষ্ট দেন।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন তালুকদার বলেন, নেসকো কে বৈদ্যুতিক খুঁটিঁ সরানোর জন্য আমরা টাকাও দিয়েছি। কিন্তু তারা খুঁটি সরিয়ে নেয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি রেখেই কার্পেটিং করছি। কারণ এই কাজ অনেকদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি হচ্ছে।

তবে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী সুব্রত কুমার বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তার পার্শ্বে খুঁটি বসানোর জায়গা দেখিয়ে দেয়নি। এজন্য খুঁটি সরানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইনতো আর মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে টানা যায়না।

তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য ৭৫ লাখ টাকা দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা রয়েছে সরঞ্জাম কেনার জন্য। এর আগে আমরা যখন খুঁটি সরানোর কথা বলেছি, তখন তারা বলেছে জায়গা দেখিয়ে দিবে। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। সরকারী দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

Exit mobile version