Site icon Jamuna Television

ইরানী বংশোদ্ভুত হওয়ায় মার্কিন বিমানবন্দরে অভিনেত্রীকে হেনস্থা

ইরানীয় বংশোদ্ভূত। আর সেই কারণেই তাঁকে বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা আটেকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন মডেল তথা অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি। অভিযোগ তাঁকে শিকাগো বিমান বন্দরে আটক করা হয়। সেখানে তাঁকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার লস আঞ্জেলেস শহরে রয়েছেন ‘স্যাক্রেড গ্যেমস’ খ্যাত অভিনেত্রী। হলিউডে নতুন কাজের খোঁজ করতেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। জার্মানি থেকে বিমানে এসে তিনি প্রথমে শিকাগো বিমানবন্দরে নামেন। ঠিক ছিল সেখান থেকে লস এঞ্জেলেসগামী বিমানে তিনি উঠবেন। তার অভিযোগ, শিকাগো বিমানবন্দরে পদার্পণ করার মুহূর্ত থেকে তাকে চূড়ান্ত ভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌছয় যে তিনি তার লস এঞ্জেলেসগামী বিমান ধরতে পারেননি।

এলনাজ জানিয়েছেন তাকে প্রায় তিন ঘণ্টা ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়,। তিনি আরও জানান যেহেতু তাঁর জার্মান পাসপোর্ট। তাই সাধারণত তাঁর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন পড়ে না। ইতিমধ্যে যেহেতু ট্রাম্প সরকার ইরানীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু করেছে তাই তাঁকেও নতুন করে ভিসার আবেদন করতে হয়। এবং সেই কারণেই বাকি সাধারণ ইরানীয়দের মতোই তাকেও দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করে থাকতে হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় তারা কেবল মাত্র দেখে নিতে চাইছিলেন অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র সঠিক রয়েছে কিনা, তাই হয়তো বিলম্ব ঘটেছে।

এলনাজ আরও জানান তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় এবং বহুবার তাঁর সমস্ত অভিবাসন সংক্রান্ত নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখেন অফিসাররা। এর ফলে পরবর্তী বিমানটি ধরবার জন্য তাঁকে আরও প্রায় ৬ ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়। সেই বিমানটি ধরে অবশেষে তিনি লস এঞ্জেলেসে পৌঁছন। এলনাজ তার অভিনয় জীবন শুরু করেন রোহিত যুগরাজ চৌহান পরিচালিত পাঞ্জাবী সিনেমা ‘ খিদো খুন্ডি’র মাধ্যমে। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন ২০১৮ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ‘স্যাক্রেড গ্যেমস’ ওয়েব সিরিজ-এ অভিনয়ের সুবাদে।

পারস্য উপমহাসাগরে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি দেশের ঝামেলা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের বনিবনা চরমে পৌঁছেছে। সেই কারণেই মার্কিন মুলুকে এখন ইরানীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ট্রাাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Exit mobile version