Site icon Jamuna Television

এক সেপটিক ট্যাংকের বলি ৬ প্রাণ

একটি সেপটিক ট্যাংক কেড়ে নিলো একে একে ৬টি প্রাণ। নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকটির শাটার খোলার জন্য শুরুতে একজন মিস্ত্রী নেমেছিলেন। বেশ কিছু সময় চলে গেলেও তার সাড়া না পেয়ে আরেকজন নেমে পড়েন সেপটিক ট্যাংকে। এভাবে একের পর এক ছয়জন সেপটিক ট্যাংকে নেমে মারা পড়লেন। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।। বুধবার সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ঘটনা জানার পরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মরদেহ এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল পাঠায়। নিহতরা হলেন, জাফরপুর হিন্দু পাড়া গ্রামের নিখিলচন্দ্র দাসের (বাড়ির মালিক) ছেলে প্রিতম চন্দ্র মোহন্ত (২০), তার চাচা মৃত গোবিন্দ চন্দ্রের ছেলে ভুট্টু চন্দ্র মোহন্ত (৪০), গণিপুর গ্রামের সামছুল আকন্দ’র ছেলে (হেড মিন্ত্রি) শাহিন হোসেন (৩৫), বগুড়া জেলার দুপচাচিঁয়া উপজেলার খলিশ্বর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মুকুল হোসেন (৩৫), গণিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে (শ্রমিক) সজল হোসেন (১৫), একই গ্রামের শাফি আলমের ছেলে (শ্রমিক) শিহাব হোসেন(১৮)। এছাড়া, গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়েছেন জাফরপুর হিন্দু পাড়া গ্রামের দীলিপ চন্দ্র (২৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকালে নিখিল চন্দ্রের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের কাজ করতে আসে মিস্ত্রিরা। তাদের মধ্যে একজন ট্যাংকে নেমে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধারের জন্য আরও দু’জন নামে। তারাও অসুস্থ্য হলে তাদের উদ্ধারের জন্য বাকিরা নামলে এই ঘটনা ঘটে। লাশ ও আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয় আরও কয়েকজন অসুস্থ্য হয়েছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) কিরণ কুমার রায় জানান, উপজেলার জাফরপুর হিন্দুপাড়া গ্রামের নিখিলচন্দ্র দাস তার বাড়িতে নতুন একটি পাকা টয়লেট নির্মাণ করে। মিস্ত্রিরা ওই টয়লেটের সেপটি ট্যাংকের ছাদ ঢালাইয়ের শাটার খুলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

Exit mobile version