Site icon Jamuna Television

সত্যায়ন ছাড়াই ই-পাসপোর্ট, সর্বনিম্ন ফি ৩ হাজার ৫০০

অবশেষে চূড়ান্ত হলো ই-পাসপোর্টের আবদেন ফি ও নীতিমালা। ই-পাসপোর্টের জন্য সর্বনিম্ন ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসাথে ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে নতুন করে কোন সত্যায়ন প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

এখন থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে কোন ধরনের কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে না বলেও জানানো হয়।

ই-পাসপোর্টের ফি ও নীতিমালা নিয়ে গত পহেলা আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক একটি পরিপত্র জারি করা হয়। তবে কবে নাগাদ ই-পাসপোর্ট সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে তা জানানো হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, আবেদনের প্রেক্ষিতে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত প্রদান করা হবে।

পরিপত্রে বল হয়েছে ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেয়া হবে।

জরুরি ও অতি জরুরি পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, অতি জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে অন্যান্য সব তথ্য ঠিক থাকলে ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেয়া হবে। জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে অন্যান্য সব তথ্য ঠিক থাকলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেয়া হবে।

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ৪৫ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ৭৫ মার্কিন ডলার

তবে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের সকল ধরণের আবেদনকারীদের জন্য একই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২২৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

সেখানে আরো বলা হয়েছে, কূটনৈতিক পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার উইং বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের (ডিআইপি) প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদন করতে হবে। বৈদেশিক মিশন থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানায় বাংলাদেশে যোগাযোগের ঠিকানা থাকতে হবে।
এতে বলা হয়েছে,

Exit mobile version