Site icon Jamuna Television

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) কে ধর্ষণ করা হয়েছে। সাত দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় দুমকীর কার্তিক পাশা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে মো. ফজলু সিকদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা করেন। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই প্রতিদিনের ন্যায় সদর উপজেলার ধরান্দি নিজ বাড়ি থেকে সকাল ৬ টায় স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রী (১৫) প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় যায়। ঐ ছাত্রীর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা গত ২ আগস্ট পটুয়াখালী সদর থানায় জিডি করে। পরে ৫ আগস্ট পুলিশের সহায়তায় রাত সাড়ে ৬ টায় দুমকীর কার্তিক পাশা এলাকার ২ নং আসামি আনোয়ার মোল্লার বাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ভাই ও মামলার বাদী বোনের বরাদ দিয়ে জানান, ফজল সিকদার আমার বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটরসাইকেল যোগে দুমকীতে আনোয়ারের বাড়ি নিয়ে যায়। আমার বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।

সদর থানার এসআই ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন জানান, বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি মামলা হয়েছে। মামলার ২ নং আসামি মো আনোয়ার (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version