Site icon Jamuna Television

উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাইক্রোওয়েভ মিসাইল’

একের পর এক মিসাইল আর বোমার পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকি ধামকিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না কিম জং উন। অনেকেরই ধারণা অবধারিতভাবে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি।

আক্রান্ত হলে পারমানবিক বোমা ব্যবহারে যে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না উত্তর কোরিয়া, তা বিভিন্ন সময় নানাভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিম জং উন। সেটাই এখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারণ।

উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন এক ধরণের মিসাইল, যা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

মিসাইলটি কোন ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে না। শুধু লক্ষ্যবস্তুতে থাকা সমস্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিকল হয়ে যাবে। এটি থেকে শক্তিশালী তরঙ্গ নির্গত হবে যা আশাপাশে বহুদুর পর্যন্ত যন্ত্রপাতি অকার্যকর করে ফেলবে। মিসাইলটির নাম দেয়া হয়েছে চ্যাম্প। পেন্টাগনের আশা, কিম জং উনের তার পারমানবিক বোমা ছোড়ার আগেই এই চ্যাম্প তার কন্ট্রোল সেন্টার অকেজো ফেলতে পারবে।

 

মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, গত আগস্টে হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এই মিসাইল ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

২০০৯ সালে মার্কিন বিমান বাহিনীর গবেষণাগারে মাইক্রোওয়েভ নির্ভর এই মিসাইল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যের মিসাইলটির প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। লক্ষ্যবস্তু ছিলো, মিসাইল ছোড়ার কাজে ব্যবহৃত কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, ঠিক যেমনটা ইরান আর উত্তর কোরিয়ার থাকতে পারে।

পরীক্ষায় দেখা যায়, মিসাইলটি ৬টি ভবনে থাকা সব যন্ত্রাংশ পুরোপুরি বিকল করে ফেলেছে, এমনকি এই পরীক্ষা রেকর্ড করার জন্য যে ক্যামেরা রাখা ছিলো, সেটিও অচল।

এখন পর্যন্ত মিসাইলটির ওই একটি পরীক্ষার খবরই গণমাধ্যমকে দেয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে একাধিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোন প্রান্তে আঘাত হানতে পারে, উত্তর কোরিয়ার এমন মিসাইল পরীক্ষার পরই থেকেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে এই চ্যাম্পের ব্যবহার।

Exit mobile version