Site icon Jamuna Television

নারায়ণগঞ্জে ঝাড়ফুঁক দেয়ার নামে শিশুকে ধর্ষণ, মসজিদের ইমাম ৫ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পানি পড়াসহ ঝাড়ফুঁক দেয়ার নাম করে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চাদঁমারী বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাচঁ দিনের রিামান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভিকটিমকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার মসজিদ কমিটির সভাপতি শরীফ হোসেনসহ পাচঁজনকে জেলা গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোট ইন্সেপেক্টর আব্দুল হাই ।

গত বুধবার সকাল আটটায় মাওলানা মো: ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলামসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ফতুল্লার সস্তাপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও ভিকটিমকে হাসপাতাল থেকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় বাইতুল হাফেজ মাদ্রসাই ইমাম ফজলুর রহমান ও মসজিদ কমিটির সভাপতি শরিফ হোসেন, মোঃ রমজান আলী, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, হাবিব এ এলাহী হবি মোঃ মোতাহার হোসেন আসামি করা হয়ছে। ওসি জানান, ওই মামলায় মাওলানা ফজলুর রহমানসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাওলানা ফজলুর রহমানকে পাচঁদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং বাকি পাচঁজনকে জেলা কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য শুক্রবার ফজরের আযানের সাথে সাথে মেয়েকে চাদঁমারী বাইতুল হাফেজ মজিদের নিয়ে আসার জন্য বলে। মাওলানার কথা মতো ভিটটিমের বাবা মেয়েকে নিয়ে মসজিদে হাজির হয়। ফজরের নামাজের পর মুসল্লিারা চলে গেলে কৌশলে মাওলানা ফজলুর রহমান মেয়ে ও তারা বাবাকে মসজিদের তিন তলায় নিজের শোবার রুমে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবাকে ঝাড়ফুঁকের জন্য আগরবারি ও মোমবাতি এবং পান লাগবে বলে মেয়েটির বাবাকে দোকানে পাঠায়। কিন্তু ভোর বেলায় দোকান না খোলায় এগুলো নিয়ে আসতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। আর সুযোগে মাওলানা ফজলুর রহমান শিশুটিকে দাড়ি দিয়ে হাত পা বেধে এবং মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে জোরর্পূবক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য মেয়েটিকে মসজিদের ছাদে নিয়ে পানি দিয়ে পরিস্কার করিয়ে দেয়। পরে একটি ছুড়ি বের করে মেয়েটিকে এই কথা কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়। কিন্তু শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তার বাবাকে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করে দেয়। এতে ভীত পরিবারটি গোপনে চিকিৎসার নেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) ওয়ান স্টাপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। ধর্ষক ফজলুর রহমানের অনুসারীরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির বাবাকে হাসপাতাল থেকে অপহরণের চেষ্টা করে।

Exit mobile version