Site icon Jamuna Television

শিডিউল বিপর্যয়, ৮-১০ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে ট্রেন

ঈদের আগ মুহূর্তে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তবে এবার তা চরমে উঠেছে। প্রতিটি ট্রেন গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা দেরিতে আসছে স্টেশনে।

জানা গেছে, নড়বড়ে রেলপথ ও ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে চলায় ট্রেনের গতি বেশ কম। এছাড়া গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চলের রেলপথ বন্ধ ছিল প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সব মিলিয়ে এদিন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ছিল চরমে।

ফলে আজ শনিবারও একসঙ্গে অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়তে গিয়ে দেরির কবলে পড়ছেন।

কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনের প্রথম ট্রেন ধুমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়বে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা দেরিতে, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৫ ঘণ্টা, নীলসাগর এক্সপ্রেস ৮ ঘণ্টা, রংপুর এক্সপ্রেস ৮ ঘণ্টা, লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন ১০ ঘণ্টা দেরিতে।

এছাড়া রাজশাহীগামী পদ্মা চলছে সিল্ক সিটির টাইমে, সিল্ক সিটি চলছে ধুমকেতুর টাইমে আর ধুমকেতু চলছে পদ্মার টাইমে। সুন্দরবন ১০ ঘণ্টা, চিত্রা ছাড়ছে ১২ ঘণ্টা দেরিতে।

শনিবার রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশন এবং স্টেশন চত্বরে লোকে লোকারণ্য।

এদিকে গত ৩১ জুলাই ১৮-২০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যারা ৯ আগস্টের টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারাই শুক্রবার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

বিলম্বে আসা এক একটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছতেই হুড়াহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের। জানালা দিয়েও লোকজন উঠছিল। ট্রেনের ইঞ্জিন, ছাদ ও দুই কোচের সংযোগস্থলেও ঘরমুখো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সুন্দরবন, ধুমকেতু, নীলসাগর, রংপুর, দ্রুতযান, চিত্রাসহ সব কটি ট্রেনই বিলম্বে চলাচল করেছে। এসব ট্রেনের যাত্রীরা ২ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্টেশনে অপেক্ষা করেন।

এ ছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশনে অপেক্ষমাণ বিভিন্ন রুটের বিপুলসংখ্যক যাত্রী অভিযোগ করেন, আসনের টিকিট থাকার পরও ট্রেনে উঠতে পারেননি। বিনা টিকিটিদের দৌরাত্মে টিকিটধারী কিছু যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি। আবার কিছু যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারলেও সিট পর্যন্ত যেতে পারেননি। পুরো পথেই দরজায় দাঁড়িয়েই যেতে হবে গন্তব্যস্থলে।

বিশেষ করে নারী যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। পুরুষ যাত্রীদের ভিড়ে নারী যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জুয়েল জানান, ট্রেনে যাত্রীদের চাপ খুব বেশি। এক একটি ট্রেনে নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি যাত্রী উঠছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ট্রেন ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে।

Exit mobile version